চাণক্য নীতিশাস্ত্র :শ্রীল সৎস্বরূপ দাস গােস্বামী
প্রায় তিন হাজার বছর পূর্বে ভারতে ঢাণক্য নামে একজন বিখ্যাত পঞ্জিত ছলেন। তিনি রাজা চন্দ্রগুপ্তের উপদেষ্টা ও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তিনি কোনাে বেতন গ্রহণ করতেন না; বরং, সালের বাইরে একটি চুটিয়ে অবস্থান করে ব্রাহ্মণের কৃত্যসমূহ পালন করতেন। এভাবে কারও কোনাে পৃষ্ঠপােষকতা না নিয়ে তিনি সবার নিয় প্রণের উর্ধে অবস্থান করছেন। একবার ভ্রাট তার কিছু কাজের কৈফিয়ত চাইলে তিনি বলেন, “যদি আমার কাজের জন্য আমাকে কৈফিয়ত দিতে হয়, তবে আমি পদত্যাগ করব।" | চাণক্যের নীতি, মানবতাবাদী ও রাজনীতিবিষয়ক উপদেশগুলাে এখনও মামাদের জন্য মূল্যবান সম্পদ হয়ে আছে। শ্রীল প্রভুপাল বলেছেন, তিনি হলেবেলাতেই চাণক্য পণ্ডিতের শ্লোকগুলাে পড়েছিলেন। চাণক্যের যাজনীতিবিষয়ক লেখাগুলাে এখনও স্নাতকোর পর্যায়ে পড়ানাে হয়। যেহেতু উনি বিখ্যাত রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিবিদ ছিলেন, তাই দিল্লিতে অবস্থিত বদেশি দূতাবাসগুলোকে এখনও চাণকাপুৱী বলা হয়।
(এস, লস অ্যাঞ্জেলেস” জুন ২৯, ১৯৭২) গ্রীল প্রভুপাদ প্রায়ই তার প্রবচন ও কথাবার্তায় চাণক্যের শ্লোকসমূহের উদ্ধৃতি পতেন, তাই ভক্তরা তার সম্বন্ধে আরও জানতে চাইতো। যমুনা দাসী । তিনি কি বড় মাপের ভক্ত ছিলেন? প্রভুপাদ : না। যমুনা । তিনি তো কোনাে আচার্য ছিলেন না। প্রভুপাদ : না, না, তিনি কোনাে আচার্য ছিলেন না। তিনি রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিবিদ ছিলেন। প্রধানত তিনি একজন জড়-জাগতিক ব্যক্তিত্বই ছিলেন
একবার প্রভুপাদের একজন শিষ্য সিদ্ধস্বরূপ পাস" জিজ্ঞেস করেছিলেন, চাণক্য পঙ্কিতের জনপ্রিয়তা কি ভারতের সর্বত্রই দেখা যায়?" শ্রীল প্রভুপলি উত্তরে বলেছিলেন, “ত গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে তার উপদেশগুলাের পারমার্থিক বশেষত্ব না থাকলেও নৈতিক গুরুত্ব তাে অবশ্যই আছে। | কে প্রশ্ন করতে পারে, “যদি চাণক্য কোনাে আধ্যাত্ত্বিক ব্যক্তি না হয়ে
কেন, হবে শ্রীল প্রভুপানি কেন প্রায়ই তার লেখার উদ্ধৃতি দিতেন?" চাণক্যের নীতিশিক্ষামূলক উপদেশগুলাে অবশ্যই প্রজ্ঞা বা শাহ থেকে নেওয়া হয়েছে, যা পঞ্চতন্ত্র বা হিতােপদেশেও দেখা যায়। কৃষ্ণভাবনা নীতির দর্শন...........................
0 Response to "শ্রীল প্রভুপাদের দৃষ্টিতে চাণক্য নীতিশাস্ত্র ।।Download করুন.PDF"
Post a Comment