শ্রীল প্রভুপাদ ও আধুনিক বিঞ্জান প্রশ্নসমূহ.........।।অন্য গ্রহে জীবনের সম্ভাবন...(১ম খন্ড)

Krishner Das

1 / 7
2 / 7
3 / 7
4 / 7
5 / 7
6 / 7
7 / 7

 জয় শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ শ্রীঅদৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ।হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।[ হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করুন এবং সুখী হুইন ]-শ্রীল প্রভুপাদ

হরে কৃষ্ণ

🙏হরে কৃষ্ণ🙏জপ করুন সুখী হউন

শ্রীল প্রভুপাদ ও আধুনিক বিঞ্জান প্রশ্নসমূহ.........।।অন্য গ্রহে জীবনের সম্ভাবন...(১ম খন্ড)

শ্রীল প্রভুপাদ ও আধুনিক বিঞ্জান প্রশ্নসমূহ.........।।অন্য গ্রহে জীবনের সম্ভাবন...(১ম খন্ড)

শ্রীল প্রভুপাদ ও আধুনিক বিঞ্জান





 অন্য গ্রহে জীবনের সম্ভাবনা।


 প্রথম প্রাতঃভ্রমণ। ১৮ই এপ্রিল, ১৯৭৩ এই কথােপকথনটি বাণীবদ্ধ করা হয় লস এঞ্জেলেসের শােভিয়ট হিলস পার্কে। শ্রীল প্রভুপাদের সঙ্গে রয়েছেন ডঃ থেীডম দামােদর সিং, করন্ধর দাসঅধিকারী, ব্রহ্মানন্দ স্বামী এবং আরও কয়েকজন শিষ্য।
ডঃ সিংঃ-অন্য গ্রহে জীবনের সম্ভাবনা।শ্রীল প্রভুপাদ ও সূর্য এবং চন্দ্রেও জীব রয়েছে। সে সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিকদের | মতবাদ কি? তারা বলে যে সেখানে কোন জীবন নেই।
শ্রীল প্রভুপাদ ঃ তাদের এই মন্তব্য সম্পূর্ণ অর্থহীন। ওখানে জীবন আছে।
ডঃ সিং ওরা বলে যে চাদে কোন জীব নেই, কেননা তারা যখন চাঁদে গিয়েছিল, তখন তারা সেখানে কোন জীব দেখতে পায়নি।
শ্রীল প্রভুপাদ ? তারা কিভাবে সেটা বিশ্বাস করে? চন্দ্র গ্রহ ধূলির আবরণে আচ্ছাদিত, সেই ধূলির মধ্যে জীব থাকতে পারে। প্রতিটি আবহাওয়াই জীবনের উপযুক্ত—যে কোনও পরিস্থিতিতে জীবন থাকতে পারে। তাই বেদ গ্রন্থে জীবকে ‘সর্বগতঃ' বলে বর্ণনা করা হয়েছে, যার অর্থ হচ্ছে “সবরকম অবস্থায় জীব থাকতে পারে।” জড়দেহে আবদ্ধ হয়ে থাকলেও জীব জড় নয়। বিভিন্ন আবহাওয়া বা পরিস্থিতি মানে হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের জড় অবস্থা। করন্ধর তারা বলে যে চাঁদের আবহাওয়া জীবনের পক্ষে উপযুক্ত নয়, কিন্তু আসলে তারা বলতে চায় যে জীবন সম্বন্ধে তাদের যে ধারণা, সেই ধারণা অনুসারে চন্দ্র গ্রহটি বসবাসের অনুপযুক্ত।

 শ্রীল প্রভুপাদ ও বেদ গ্রন্থে বলা হয়েছে যে জড় পদার্থের সঙ্গে জীবের কোন যােগাযোগ নেই। জীব অর্থাৎ আত্মাকে আগুন দিয়ে পােড়ানো যায় না, অস্ত্র দিয়ে কাটা যায় না, বায়ু দিয়ে শুকানাে যায় না এবং জলের দ্বারা ভেজানাে যায় না; সে সম্বন্ধে ভগবদ্গীতায় আলােচনা করা হয়েছে।
ডঃ সিং ও বৈজ্ঞানিকেরা মনে করে যে এই গ্রহে জীবন সম্বন্ধে তাদের যে ধারণা, সেই ধারণার ভিত্তিতে তারা স্থির করতে পারবে অন্য গ্রহে জীবন আছে কি নেই।
শ্রীল প্রভুপাদ ঃ হ্যা। তারা সবার আগে নিজেদের কথা ভাবছে। তাদের এই চিন্তাধারা অত্যন্ত সংকীর্ণ, তা কেবল তাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থার উপর প্রতিষ্ঠিত। সেটাকে আমরা বলি, “কুপমণ্ডুক দর্শন।” | একটা কুয়েতে একটা ব্যাঙ ছিল এবং তার এক বন্ধু এসে যখন তাকে প্রশান্ত মহাসাগরের কথা বলল, তখন সে তার বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করল, “ওঃ, এই প্রশান্ত মহাসাগরটি কি?" তার বন্ধু উত্তর দিল, “এটা একটি মহাসাগর—একটি প্রকাণ্ড বড় জলাশয়।” “কত বড়? এই রকম দুটো কুয়াের মতাে?” তার বন্ধু উত্তর দিল, “না, না—তার থেকে অনেক বড়।” “কত বড়? এ রকম দশটা কুয়াের মতাে? বিশটা কুয়াের মতাে?” এইভাবে ব্যাঙ মশাই সমুদ্রের আয়তন সম্বন্ধে অনুমান করতে লাগলেন। কিন্তু এইভাবে কি কখনও প্রশান্ত মহাসাগরের বিশালত্ব উপলব্ধি করা যাবে? আমাদের ক্ষমতা, আমাদের অভিজ্ঞতা এবং আমাদের অনুমানশক্তি অত্যন্ত সীমিত। আধুনিক বৈজ্ঞানিকদের সমস্ত অনুমানগুলি এই ব্যাঙ মশাইয়ের দর্শনের মতাে। করন্ধর তারা যাকে "বৈজ্ঞানিক নীতি” বলছে, তার ভিত্তি হচ্ছে, তাদের ইন্দ্রিয়লব্ধ অভিজ্ঞতা। সরাসরিভাবে যে অভিজ্ঞতাগুলি তারা অর্জন করেছে সে সম্বন্ধেই কেবল তারা তাদের মতামত পােষণ করে। শ্রীল প্রভুপাদ ? তুমি তােমার অভিজ্ঞতার কথা বলতে পার, আর আমি আমার অভিজ্ঞতার কথা বলতে পারি। কিন্তু আমি কেন তােমার অভিজ্ঞতা চরম বলে মেনে নেব? তুমি একটা নির্বোধ, মুখ হতে পার, তা বলে আমি কেন একটা মুখ হাতে যাব? তুমি একটা ব্যাও হতে পার, কিন্তু আমি যদি একটা তিমি হই? তােমার কুয়ােকেই আমি সম্ব বলে মেনে নেব কেন? বৈজ্ঞানিক জ্ঞান আহরণ করবার নিজস্ব প্রয়া তােমার থাকতে পারে, এবং তা আমারও আহে
ডঃ সিং ও বৈজ্ঞানিকেরা চন্দ্র-পৃষ্ঠে জল খুঁজে পায় নি, তাই তারা সিদ্ধান্ত করেছে যে, সেখানে কোন জীব থাকতে পারে না।
শ্রীল প্রভুপাদ ? তারা কি সমস্ত চাঁদে ঘুরে দেখেছিল? অন্য গ্রহ থেকে কেউ যদি এখানে এসে আরবের মরুভূমিতে নামে এবং সেখান থেকে ফিরে যায়, তাহলে কি সে সমস্ত পৃথিবীর প্রকৃতি সম্বন্ধে পূর্ণরূপে জানতে পারবে? পৃথিবী সম্বন্ধে সে পূর্ণ জ্ঞান নিয়ে যেতে পারবে না। করন্ধর ? জল আছে কিনা সেটা দেখবার জন্য একটা যন্ত্র তাদের আছে। তারা বলছে যে তারা সেই যন্ত্রটি নিয়ে চন্দ্র প্রদক্ষিণ করেছে, এবং তার ফলে তারা জানতে পেরেছে যে চাদের কোথাও জল নেই এবং তাই সেখানে জীবন থাকতে পারে না। শ্রীল প্রভুপাদ ও সূর্যেও আপাতদৃষ্টিতে জল নেই, কিন্তু তবুও সেখানে জীবন রয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে জল ছাড়া মরুভূমিতে কাটা গাছগুলি জন্মাচ্ছে কি করে? করন্ধর তারা বায়ু থেকে জল আহরণ করে। শ্রীল প্রভুপাদ ঃ হ্যা, বায়ুমণ্ডলে জীবন ধারণের জন্য সবকটি, উপাদানই রয়েছে। যেমন, আমার দেহে জল রয়েছে, যদিও তুমি সেটা দেখতে পাচ্ছ না; তেমন আমার দেহে যে আগুন রয়েছে, তাও তুমি দেখতে পাচ্ছ না; কিন্তু সেই আগুনের প্রভাবে আমার শরীর উত্তপ্ত হচ্ছে। এইউত্তাপ আসছে কোথা থেকে? তুমি ত কোন আগুন দেখতে পাচ্ছি না। আমার শরীরে যে আগুন জ্বলছে, সেটা কি তুমি দেখতে পাই? | তাহলে এই তাপ আসছে কোথা থেকে? তার উত্তর কি ?

0 Response to "শ্রীল প্রভুপাদ ও আধুনিক বিঞ্জান প্রশ্নসমূহ.........।।অন্য গ্রহে জীবনের সম্ভাবন...(১ম খন্ড)"

Post a Comment

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel