প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্ন ১। ভগবান যদি সুন্দর হন তবে তাঁর সৃষ্ট এই জগৎটা এত খারাপ কেন? এখানে এত কষ্ট, মৃত্যু, কান্না—এর তাৎপর্য কি?
উত্তর:- এই জগৎটা জেলখানা স্বরুপ। এটি দুঃখলয়ম–দুঃখের আলয়। ভগবদ্বিমুখ হওয়ার জন্য আমন্ত্র এই দুঃখময় জগতে অধঃপতিত হয়েছি বলে বৈনিক। শাস্ত্রে বর্ণনা অ হয়েছে। রাজদ্রোহী প্রজারা জেলখানায় স্থান পায়। জেলখানা শক্তি, উদ্বেগ ও কষ্ট পায় নাই তৈরি হয়েছে। সরকার জেলখানা তৈরি হচ্ছে বলে সকাৰ ভাল না=এপ ভাবাটাই নােকামি। জেলখানা তৈরি করাটা কোনও রাজার নােমৰূপে গণ্য করা উচিত নয়। তবে কৃত কর্মের দণ্ডভােগেন। মেয়াদ শেষ হলে জেলখানা থেকে নেত্রহাই পাওয়ার সুযােগ থাকে। পুনরায় অপরাধমূলক কর্ম করলে পুনরায় জেলখানাতেই গতি হবে। কিন্তু বুদ্ধিমান ব্যক্তি বারে বারে জড়জাগতিক দুঃখ কষ্ট লাভ করতে চাইবেন না, তাই তারা 'শবভক্তি অনুশীলন করে এই জেলখানা স্বরূপ দুঃখময় জগৎ থেকে উত্তীর্ণ হয়ে পরমানন্দময় ভগবদ্ধামে উন্নীত হওয়ার জন্য সুর প্রয়াস করেন।
প্রশ্ন ২। শাস্ত্রে জানতে পারলাম, 'ভাল ও মন্দ উভয়েই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সৃষ্টি। তা হলে ভগবান কি কারণে মদ বিভাগ সৃষ্টি করলেন?
উত্তর ; বৈপরীত্য না থাকলে বৈচিত্ৰ উপলব্ধ হয় না। ভালর মহিমা লােকে তথাই বখতে পারে যখন মন্দ সম্পর্কে তার অভিপ্রেত হয়। অন্ধকার যদি না থাকত, তবে আলাের মর্যাদা কেউ দিত না। জীবের মন্দ প্রবণতা আছে বলে মন্দ বিভাগে থাকার ব্যবস্থা না হয়েছে। কিছু নাগরিক কয়েদি হয়ে যাওয়ার জন্য ওদের আটক এখার উদ্দেশাে কমোদখানা তৈরি করা হৃয়েছে। তার অর্থ এই নয় যে, সমস্ত নাগরিককে দেখানায় বাস করতে কিংবা মগ্ন হয়ে থাকতে বলা হচ্ছে। না, তা নয়।
প্রশ্ন ৩। শাস্ত্রে পেয়েছি, “যা গত হয়েছে তা ভাল হয়েছে, যা চলছে তা। ভাল চলছে, যা ভবিষ্যতে হবে তাও ভাল হবে। তবে আমরা যা করছি তা যাই হােক, শাস্ত্র অনুযায়ী ডালই হচ্ছে। তা কি সত্য নয়?
উত্তরঃ- কোন শাস্ত্রে আছে জানি না। তবে কল যায়, যে পুণ্য করছে সে স্বর্গসুখ ভােগ করবে—অতএব ভাল করছে। যে পণ্ড করেছি সে এখন স্বর্গসুখ লাভ করছে, অতএব ভাল করেছিল। যে পাপ করেছিল, সে নরক যন্ত্রণা ভােগ কাছে সুতরাং শাস্তির পর তার পাপল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, অতএব ভাল হচ্ছে। যে ক্রমশ পাপ কর্ম করেই | চলেছে, সে অবশ্যই নরকগামী হবে এবং দণ্ডভােগ করবে। এটি নীতিগত বিচারে ভালই। শাস্ত্রে আছে, এই মানবজন্মে যে পশুর মত আচরণ করবে, পরজন্মে সে একটি পজন্য পাবে। এই জন্মে যে হরিভজন করে জীবন অতিবাহিত করবে, পাবর্তী জীবনে সে হরিণামে উন্নীত হবে। অতএব আপনি যেটাই ভাল বােঝেন, সেটাই করে চলবেন এবং তার উপযুক্ত ফল লাভ করবেন। এই নিয়মটি নিশ্চয়ই ভাল।
প্রশ্ন ৪। ভগবান কেন এই জগৎ সৃষ্টি করলেন?
উত্তরঃ জীব তার স্বতন্ত্র ইচ্ছায় ইন্দ্রিয় তৃপ্তি ও ভােগের বিষয় আকাঙক্ষা করতে পারে। তার সেই সব আকাঙক্ষা পূর্ণ করার সূয়েশ করে দেওয়ার জন্য এই অখৎ সৃষ্টি হয়েছে। অবশেষে যখন জীব বুঝতে পারে যে, প্রকৃত আনন্দ এখানে নেই, তখন সে আনন্দময় ভগব ধামে উন্নীত হওয়ার জন্য সাধুসঙ্গাদিমুলক আচরণ কর সুযােগও পেতে পারে। এই সাই ভগবান এই জড় জগৎ সৃষ্টি কল্লেছেন।
প্রশ্ন ৫। জগতে ভক্তের সংখ্যা বেশী, না অভক্তের সংখ্যা বেশী?
উত্তর : সমগ্র জগৎ, অর্থাৎ চিন্ময় জগৎ ও জড় জগৎ-এভাবে সমগ্র জগতে। চারাগের একভাগ মাত্র জড়জগৎ। বাকী তিনভাগই বৈকুণ্ঠ হৃৎ। বৈকুণ্ঠ জগতের সকলেই ভক্ত। অল্প অংশ এই জড়জগতের মধ্যে আবার উলেকগুলিতে ভক্ত কেশী। যদিও সকাম ভক্তই বেশী। পৃথিবী নামক ছোট গ্রহে কলিগ্রভাবিত কনুষের সংখ্যা বেশী। প্রহরী ভক্তের সংখ্যা বেশী। তবে এই কলিযুগ ধন্য। কারণ মহাবদা অবতার রুপে ভগবান অবতীর্ণ হয়েছে। তাই কৃষ্ণনামৃত প্রচার হওয়ার কথা প্রতিশত হয়েছে। শাস্ত্রে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে আগামী দশহাজার বছর অবধি মহাপ্রভুর হকিম সংকীর্তন সমগ্র পৃথিবীর প্রতি নগর গ্রামে সবার মধ্যেই ছড়িয়ে পড়বে। ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে এই ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে। অর্থাৎ কলির প্রথম সন্ধ্যায় ভক্তই বেশী। যদিও বা ইদানীং মনে হচ্ছে জাগতে 'অভ বেশী। কিন্তু গ্নের কলি আসতে না আসতেই একটি বিশাল মঙ্গলময়-ভক্তিময় পরিবর্তন সূচিত হবে। পাঁচ হাজার বছর পর ক্রমশ ভক্তসংখ্যা এই পৃথিবীতে কমতে থাকবে। এই জগতে অসংখ্য প্রাণীর প্রজাতি রয়েছে, তাদের মধ্যে মনুষ্য জন্ম লাভ করা অত্যন্ত দুভি। তার মধ্যে ভক্ত সঙ্গ বহুগুণাথিক দুর্লভ।
৬।প্রশ্ন | পরমেশ্বর ভগবানের সৃষ্টিকর্তা কে?
উত্তরঃ- ভগবান কৃষ্ণ সময় ঈশ্বরের সশ্বর অর্থাৎ পরম ঈশ্বর। গ্রই পরম ঈশ্বষের আবার সৃষ্টিকর্তা রয়েছে এরূপ কথা বলা সম্পূর্ণ ভুল। যিনি পর, তাঁর উপরে কেউই থাকেন না। যদি থাকেন, তবে ‘পরমেশ্বর' কথাটি ব্যবহার করা হত
। শাস্ত্রে শককে ‘অসমােঞ্চ' বলে বর্ণনা করা হয়েছে। অসমাে' কথাটির অর্থ হল যার সমান কেউ নেই এবং যার উর্দ্দেকেউ নেই।' তিনিই পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। আপনার আমার সৃষ্টিকর্তা রয়েছে বলেই তাে আমরা ভগবান নই। যে কারণে আমরা ভগবান নই সেই কারণটি ভগবানের ক্ষেত্রে আরোপ করা কেন? সৃষ্টির আদি জীব প্রজাপতি ব্রহ্মা সীকৃষ্ণ সম্বন্ধে ব্যথা করছে
| ঈশ্বরঃ পরমঃ কৃষ্ণঃ সচ্চিদানন্দবিগ্রহঃ ।
| অনাদিরাদিগোবিন্দঃ সর্বকারণকারণম্। অর্থাৎ, সচ্চিদানন্দময় শ্রীকৃষ্ণই পরমেশ্বর ভগবান। তিনি অনাদির আদি এবং সমস্ত কারণের পরম কারণ।” (শ্রীব্রহ্মসংহিতা ১) এই থেকে প্রতিপন্ন হয় যে
পরমেশবে। কোন কারও নেই। পরমেশ্বরের কোন আদি নেই। তিনিই সমস্ত কাৰণের পরম কারণ।
৭| প্রশ্ন । ভগবান যে আছে তার কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ দিতে পারবেন?
উওর ঃ- আপনি আপনর অপূর্ণ চক্ষু দিয়ে বন্ধুকে দেবেন। সেই চক্ষু দিয়ে আপনি অতি কাছের, কিংবা অন্তরালের কিবা দূরের জিনিস প্রত্যক্ষ করতে পারেন না। আবার সেই চক্ষুরও কোনও মূল্য থাকবে না, যদি আলাের সাহায্য না কেন। আলাের সাহায্য আছে বলেই আপনি দেখতে পাচ্ছেন। আবার যে চক্ষু দিয়ে আপনি দর্শন করছে, সেই চক্ষুকেও আপনি দেখতে পাচ্ছেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত আয়না বা প্রতিবিম্ব ধরা পথে এমন কোন বস্তুৰ সাহায্য না নিচ্ছেন। প্রবাৰ কোন জিনিস দেখেও আপনি প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন না, যদি তা দেখার মতাে মনােযােগ আপনার না থকে। অর্থাৎ মনে সাহায্য নিতে হচ্ছে। আবার মৃত্যুর সময় জড় দেহের স সঙ্গে আপনার চক্ষুটিও হ্যবাকেন। এইভাবে দেখা যায় যে, আপনার দর্শন ক্ষমতা কতাে তুজ আর নগণ্য। একপ + অপূর্ণ জড় চক্ষুতে পূর্ণ ও অসীম ভগবানকে প্রত্যক্ষভাবে দেখার আশা করছেন কিভাবে? ভগবানকে দেখতে হলে কম-জেশ কালিমাশুনা হয়ে ভক্তি চক্ষুর উন্মেষ প্রযােজন। শ্যামসুন্দরকে ভক্তিবিলোচনেন” ভক্তিচক্ষুতে দর্শন করতে হয়। আপনি আগে মুক্তি লাভ করুন। ছক্ত হােন। তারপৰ ভক্তির সাহায্যে ভগব দর্শন হবে। 'ভগবান 'অর্ধেক্ষ'—অর্থাৎ তিনি এই জয় চক্ষুর অতীত। কামময় চক্ষু দিয়ে প্রেমমযেব দর্শন অসম্ভব।
৮| প্রশ্ন । শূন্য থেকে কোন কিছুই সৃষ্টি হয় না।" তা হলে ভগবান একুশ কি করে সৃষ্টি হলেন, জগৎ কিভাবে সৃষ্টি হল?
উত্তর শূন্য থেকে কিছুই সৃষ্টি হয় না—একথা সত্য। কিন্তু পূর্ণ থেকে সব কিছু সৃষ্টি হয়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পূর্ণ পুরুষ। তিনি সর্বকরণের পরম কারণ। তিনি সৃষ্টির অতীত। যখন কেও সৃষ্টি ছিল না, তখন আদি পুরুষ শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে সমস্ত কিছুর সৃষ্টি। তিনি ঘােষণা করেছেন—অহয় সর্বস্য প্রভবঃ—আমি সমস্ত কিছুর উৎস।” (গীতা ১০/৮) * প্রজাপতি শ্ৰীক্ষা নির্দেশ করেছেন
ঈশ্বরঃ পরমঃ কৃষ্ণঃ সচ্চিদানন্দবিগ্রহঃ ।
| অনাদিরাদিগোবিন্দঃ সর্বকারণকারণম্ । “সচ্চিদানন্দ-বিগ্রহ গােবিন্দ শ্রীকৃষ্ণই পরমেশ্বর ভগবান। তিনি অনাদি, সকলেরই আদি। এবং সকল কারণের পরম কারণ।" (ব্রহ্মসংহিতা ৫/১)
এই থেকে পরিষ্কার বােঝা যায়, ভগবান শ্রীকৃষের কোনও কারণ থাকতে পারে না। অনকোটি বিব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির পূর্বেও তিনি ছিলেন।
পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পরম পূর্ণ, তিনি কখনই শূন্য নন। ঈশােপনিষদে ব্যাখ্যা করা হয়েছে............
ওঁ পূর্ণমদঃ পূর্ণমিদং পূর্ণাৎ পূর্ণমুদচ্যতে।
পূর্ণস্য পূর্ণাঙ্গায় পূর্ণমেরাবশিষ্যতে ॥ “পরমেশ্বর গুণাব। সর্বতোভাবে পূর্ণ। তিনি সম্পূর্ণভাবে পূর্ণ বলে এই দৃশ্যমান জগঙ্গে মতাে তার থেকে উদ্ভুত সব কিছুই সর্বতোভাবে পূর্ণ। যা কিছু পৰম পূর্ণ থেকে উদ্ভূত হয়েছে, তা সবই পূর্ণ। কিন্তু যেহেতু তিনি হচ্ছেন পরম পুর্ণ, তাই তার থেকে অসংখ্য অখণ্ড ও পূর্ণ সত্ত্বা বিনির্গত হলেও তিনি পূর্ণরূপেই অবশিষ্ট থাকেন।"
প্রশ্ন ৯। ভগবান যে সত্যি আছেন তা মানুষ বুঝবে কি করে?
উত্তর : । মানুষের বোঝা না বোঝার উপর ভগবানের অস্তিত্ব নির্ভর করে না। সৃষ্টি | যা আছে তখন স্রষ্টার নিশ্চয়ই অস্তিত্ব আছে। আমরা যে কাপড় চোপড় ব্যবহার করছি, আসবাব পত্র ব্যবহার করছি সেগুলি নিশ্চয় কেষ্ট না পেষ্ট বানিয়েছে। অতএব আমরা কখনও বলতে পারি না যে, এগুলির নির্মাতা কেউ নেই। যখন কেউ কোন ব্যক্তি বা স্থানের ছবি বা নকসা দেখা, সেই ব্যক্তি বা স্থানের বর্ণনা দেয়, সেই ব্যক্তির বা স্থানের নানাবিধ কাহিনী আমরা শুনতে পাই, তখন সেই ব্যক্তি বা স্থান অমান৷
দেখলেও তার অস্তিত্ব আমরা হৃদয়ঙ্গম করি। আমরা নিউইয়র্ক বা আফ্রিকা কোনদিন | না দেখলেও তা আছে বলে সহজেই স্বীকার করে নিই। আমরা প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতিকে না দেখলেও না যােগাযােগ রাখলেও তারা যে আছে তা স্বীকার করে নিই। এই যদি সত্য হয় তবে বিশ্বক্রয় পক্ষমেশ্বর যে কেউ একজন আছেন সেই গাটি কেন সত্য হবে না—মুন মুনিষিগণ ভক্তগণ ভগবানের ধাম নাম সাপ গুণ লীলাবিলাসের ব্যাঠীয়া কাহিনী ও চিত্র নকসা প্রদান করে গেলে? অবশ্য গবান কলেছেন—ভক্ত্যা মাম্ অভিজ্ঞানতি ভক্তরা আমাকে জানতে পারবে। কিন্তু মূঢ়োইয়ং নাভিমান—সমূৰোঁরা আমাকে কিছুতেই জানতে পারবে না।
প্রশ্ন ১০ | এই পৃথিবী সৃষ্টির পুর্বে শ্রীকৃষ্ণ কোথায় ছিলেন?
উত্তর। এই একটি পৃথিবী নয় অন্ত শেটি পৃথিবী সৃষ্টির পূর্বেও পলমের 'গাপন শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন। পরমেশ্বর ভগবান সেই কথা কে বলছেন—
অহমেধাসমগ্রে নন সৎ, সদসং পরম !
পশ্চাদহ দেহ যােহবশিষ্যেত সােহম্মহম ॥ "হে ব্ৰক্ষা। সমগ্র সৃষ্টির পূর্বে পরমেশ্বর আমিই একমাত্র বর্তমান ছিলাম, এবং তখন | আমি ছাড়া অনা কিছু ছিল না। এমনকি এই সৃষ্টির কারণীভূত প্রকৃতি পর্যন্ত ছিল না।
সৃষ্টির পরেও একমাত্র আনিই আছি এবং প্রলয়ের পরেও পরমেশ্বর একমাত্র আনিই অবশিষ্ট থাকব।" (শ্রীমদ্ভাগবত ২৯৩৩) ।
নিজ ধাম গােলােক বৃন্দাবন। খোলেনন্নি জিধ্যায় (ব্রহ্মসংহিতা ৫/৪৩)। গােলােকেই তিনি নিত্যকাল বাস করেন। গেলােক এর নিসর্তি (ব্রহ্মসংহিতা ৫/৩৭)। আর তিনি অনন্ত কোটি ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করছেন। একোহপাসৌ রচয়িত জগদক্যেটিম ব্রহ্মসংহিতা ৫/৩৫)।
0 Response to " প্রশ্নের উত্তর ...।।(১ম পর্ব)"
Post a Comment