মানবজীবন কেবল বিচারবুদ্ধি বর্জিত খেয়ালখুশিমত বেঁচে থাকা মাত্র নয়; মানবজীবনের উদ্দেশ্য পরমেশ্বর ভগবানকে উপলব্ধি করা। শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন ভগবান এবং ভক্তিযােগের পন্থায় তাকে উপলব্ধি করা যায়। এই কলহ ও প্রবঞ্চনার যুগ কলিযুগে সবচেয়ে প্রামাণিক ভক্তিপথ হল সেটিই যা শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু শিক্ষা দিয়েছেন।
এই ধরণীতে আজ থেকে প্রায় পাঁচশ বছর পূর্বে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু আর্বিভূত হয়েছিলেন। তিনি হচ্ছেন স্বয়ং এবং তিনি আত্মােপলব্ধির সবচেয়ে সরল পন্থা শিক্ষা দিয়েছেন—তা হল হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন করা । হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে। হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে । শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন, ভগবানের এই দিব্যনাম পৃথিবীর প্রতিটি নগরে ও গ্রামে প্রচারিত হবে। তার বাণী ফলপ্রসূ হয়েছে এই দিব্যনাম কীর্তন এখন আর কেবল ভারতভূমিতেই আবদ্ধ নেই, সমগ্র বিশ্বে আজ তা ছড়িয়ে পড়েছে। শ্রীচৈতন্যদেব কর্তৃক শক্তিপ্রাপ্ত শ্রীল অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ ভগবানের দিব্যনাম কীর্তনের এই পন্থাকে সারা পৃথিবীতে জনপ্রিয় করে তুলেছেন। ভগবান শ্রীচৈতন্যদেবের শিক্ষাসমূহ অবলম্বন করে শ্রীল প্রভুপাদ ১৯৬৬ সালে আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) স্থাপন করেন। শ্রীল প্রভুপাদ এই জগৎ থেকে অপ্রকট হয়েছেন ১৯৭৭ সালে, কিন্তু তিনি যে আন্দোলনের সূত্রপাত করেছেন, তা ক্রমবর্ধমান। প্রতিদিন আরও বেশি বেশি মানুষ কৃষ্ণভাবনামৃত গ্রহণে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। শ্রীল প্রভুপাদের গ্রন্থাবলী পাঠ করে ......।
0 Response to "গৃহে বসে কৃষ্ণভজন গন্থটি Download করুন.PDF"
Post a Comment