অথাতো ব্রহ্মজিজ্ঞাসা’।

Krishner Das

1 / 7
2 / 7
3 / 7
4 / 7
5 / 7
6 / 7
7 / 7

 জয় শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ শ্রীঅদৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ।হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।[ হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করুন এবং সুখী হুইন ]-শ্রীল প্রভুপাদ

হরে কৃষ্ণ

🙏হরে কৃষ্ণ🙏জপ করুন সুখী হউন

অথাতো ব্রহ্মজিজ্ঞাসা’।

অথাতো ব্রহ্মজিজ্ঞাসা’।


অথাতো ব্রহ্মজিজ্ঞাসা’।

বেদান্ত সূত্রের প্রথম সূত্র হলো ‘অথাতো ব্রহ্মজিজ্ঞাসা’। অর্থাৎ আমরা যেহেতু এখন মনুষ্য শরীর লাভ

 করেছি তাই আমাদেরকে ব্রহ্ম সম্বন্ধে জানতে হবে, আধ্যাত্মিক তত্ত্ব উপলব্ধি করতে হবে। ব্রহ্ম বা

 চিন্ময় তত্ত্ব সম্বন্ধে অনুসন্ধান করতে হবে। ভগবানের সঙ্গে আমাদের নিত্য সম্পর্ক পুনঃস্হাপন

 করতে হবে। যে ব্যক্তি যথার্থ বুদ্ধিমান তার কর্তব্য সব কিছুর আদি উৎস অনুসন্ধান করা। প্রথমেই

 ব্যক্তির বোঝা উচিত —অহং ব্রহ্মাস্মি— ”আমি এই জড় দেহ নই, আমি চিন্ময় আত্মা “। আর তার

 পরেই, অথাতো ব্রহ্মজিজ্ঞাসা। আমি যদি ব্রহ্ম হই—আমি যদি চিন্ময় হই—তাহলে আমার প্রকৃত,

 চিন্ময় স্বভাবটা কী রকম? এতদিন দেহাত্ব বোধের মধ্য দিয়েই আমি আমার জীবন অতিবাহিত করেছি,

 কিন্তু আসলে আমি একজন চিন্ময় আত্মা, পরম চিন্ময় পুরুষের অংশ। সুতরাং, এক চিন্ময় সত্তার

 কীভাবে জীবন যাপন করা উচিত? এই জগতে এবং পরবর্তী জগতে আমার আসল জীবনটা কী

 রকম? গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, “তুমি এই জড় দেহ নও। তোমার অনেক জড় দেহ ছিল,

 কিন্তু তুমি হলে অন্তর্নিহিত আত্মা। তুমি হলে চিন্ময় সত্তা। এখন নিজেকে উপলব্ধি করো, এবং স্বগৃহে

 আমার কাছে ফিরে আসো”। যে শুধু তার দেহ চেতনাতেই মগ্ন থাকে সে পশু তুল্য। গীতায় (১৫/১৫)

 শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন— সর্বস্য চাহং হৃদি সন্নিবিষ্টো মত্তঃ স্মৃতির্জ্ঞানমপোহনং চ। "আমি সকলের হৃদয়ে

 বিরাজ করি এবং আমার থেকে স্মৃতি, জ্ঞান ও বিস্মৃতি আসে।" পশু শরীরে জীব ভগবানের সংগে তার

 সম্পর্কের বিষয়ে সম্পুর্নরূপে বিস্মৃত থাকে। কিন্তু মনুষ্য জীবনে চেতনা অত্যন্ত বিকশিত এবং তার

 ফলে মানুষ ভগবানের সংগে তার সম্পর্কের কথা উপলব্ধি করার সুযোগ পায়। পশুরা শুধু আহার নিদ্রা

 মৈথুন ও আত্মরক্ষার অনুসন্ধান করে। দুর্লভ মানব দেহ লাভ করার পরও যদি কেউ কেবল এই চারটি

 বিষয়েরই অনুসন্ধান করে তবে সে পশুর চেয়ে উত্তম নয়। শাস্ত্রে এদেরকে দ্বিপদ পশু বলা হয়েছে।

 শ্রীমদ্ভাগবতে (১/২/১০) বলা হয়েছে :- কামস্য নেন্দ্রিয়প্রীতির্লাভো জীবেত যাবতা। জীবস্য তত্ত্বজিজ্ঞাসা

 নার্থো যশ্চেহ কর্মভিঃ।। “ইন্দ্রিয় সুখভোগই মানব জীবনের উদ্দেশ্য নয়। পরমতত্ত্ব সম্বন্ধে অনুসন্ধান

 ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্য নিয়ে কর্ম করা উচিত নয়।” তাই মানব জীবনের প্রধান লক্ষ্য হলো আমি কে

, কোথা থেকে এসেছি , আমার কর্তব্য কি, আমার উপস্থিতির কারন কি? ইত্যাদি প্রশ্ন করার মাধ্যমে

 তার বুদ্ধির যথার্থ সদ্ব্যবহার করা। এগুলো হলো আত্মতত্ব সম্বন্ধীয় প্রশ্ন।এই প্রশ্নগুলো যখন মনে জাগে

, তখন আমাদের পারমার্থিক জীবনের শুরু হয়। যতক্ষন পর্যন্ত মানুষ আত্মতত্ব সম্বন্ধে অনুসন্ধান

 করতে শুরু না করছে ততক্ষন পর্যন্ত সে একটি পশু ছাড়া আর কিছু নয়। মানব জীবনে এই

 ব্রহ্মজিজ্ঞাসা ব্যতিত আর সমস্হ কর্মই ব্যর্থ বা অর্থহীন বলে গন্য করা হয়। 


                                              ।।হরে কৃষ্ণ।। 

0 Response to "অথাতো ব্রহ্মজিজ্ঞাসা’।"

Post a Comment

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel