প্রশ্ন:- কেন জীবের তথা মানুষের শরীরে নয়টি দ্বার রয়েছে?প্রশ্ন:- বিষয়ী কাকে বলে? প্রশ্ন:- আধ্যাত্মিক বুদ্ধির প্রয়োজনীয়তা কি?প্রশ্ন:- জড়বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিক দর্শনের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? প্রশ্ন:- বদ্ধ জীবের রোগ কি?
প্রশ্ন:- কেন জীবের তথা মানুষের শরীরে নয়টি দ্বার রয়েছে?
উত্তরঃ- নয়টি দ্বারের সাতটি উপরিভাগে যথা- দুটি চক্ষু, দুটি নাসারন্ধ্র, দুটি কর্ণ ও একটি মুখ। আর দুটি
অধোভাগে অবস্থিত, যথা- পায়ু ও উপস্হ। দেহের অধীশ্বর জীবাত্মা বিভিন্ন প্রকার জড় সুখ উপভোগ
করার জন্য এ সমস্ত দ্বারগুলির ব্যবহার করে। এইজন্য প্রকৃতি তার শরীরে বিভিন্ন রন্ধ্র দান করেছে,
যাতে সে ইন্দ্রিয় সুখভোগের জন্য সেগুলির ব্যবহার করতে পারে। ভাগবত তাৎপর্যঃ ৪/২৫/৪৫। দেহ
রূপ নগরীর পশ্চিম দিকে দ্বারটিকে - উপস্হকে বলা হয় আসুরী। কারণ তা বিশেষ করে অসুরদের
জন্য। অসুর হচ্ছে তারা, যারা ইন্দ্রিয় সুখভোগের ব্যাপারে অত্যন্ত আগ্রহী, বিশেষ করে যৌনসুখ, যার
প্রতি তারা অত্যন্ত আসক্ত। জড়সুখ ভোগকে বলা হয় গ্রাম্য এবং যেখানে মানুষ গভীর ভাবে যৌন সুখ
ভোগে লিপ্ত হয়, সেই স্থানকে বলা হয় গ্রামক। জীব তার উপস্হের দ্বারা চরম সুখ উপভোগ করে।
ভাগবত তাৎপর্যঃ ৪/২৫/৫২।
প্রশ্ন:- বিষয়ী কাকে বলে?
উত্তরঃ-বিষয় বলতে আহার, নিদ্রা, ভয় ও মৈথুনদেহের এই চারটি প্রয়োজনকে বোঝায়। যারা এসবের
প্রতি অত্যন্ত আসক্ত, তাদের বলা হয় বিষয়ী।
প্রশ্ন:- আধ্যাত্মিক বুদ্ধির প্রয়োজনীয়তা কি?
উত্তরঃ-মন হচ্ছে সেইস্থান, যেখানে আত্মা অবস্থিত এবং মন পরিচালিত হয় বুদ্ধির দ্বারা। জীবাত্মা হৃদয়ের অভ্যন্তরে অবস্থিত মনের নিয়ন্ত্রণাধীনে বুদ্ধিকে অনুসরণ করে। তার অর্থ হচ্ছে জড়বুদ্ধিই জীবের বন্ধনের কারণ। তাই এই বন্ধন থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আধ্যাত্বিক বুদ্ধির সাহায্য গ্রহণ করা উচিত। ভাগবত তাৎপর্যঃ ৪/২৫/৬১।
প্রশ্ন:- জড়বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিক দর্শনের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
উত্তরঃ-মানুষেরা এখন সমুদ্রের তলদেশে পেট্রোলের অনুসন্ধানের কাজে অত্যন্ত ব্যস্ত। তারা ভবিষ্যতের পেট্রোল সাপ্লাই সম্বন্ধে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন, কিন্তু জন্ম, মৃত্যু, জরা ও ব্যাধির দুঃখ থেকে তারা নিবৃত্তি লাভ করতে পারে না। এইভাবে অজ্ঞতাবশত যারা তাদের ভবিষ্যৎ জীবন সম্বন্ধে কিছুই জানে না, তাদের সমস্ত কার্যকলাপই ব্যর্থ। ভাগবত তাৎপর্যঃ ৪/২৮/১২।
প্রশ্ন:- বদ্ধ জীবের রোগ কি?
উত্তরঃ-মূর্খ মানুষেরা জানেনা যে, প্রতিটি জীবাত্মা তার কর্ম ও ফলের জন্য দায়ী। শিশু অথবা বালক অবস্থায় জীব যখনঅবোধ থাকে, তখন পিতা-মাতার কর্তব্য হচ্ছে তাকে জীবনের মূল্য সম্বন্ধে যথাযথভাবে শিক্ষা দেওয়া।শিশু যখন বড় হয়ে যায়, তখন তার জীবনের কর্তব্য গুলি যথাযথভাবে সম্পাদন করার দায়িত্ব তার উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। পিতা মাতার মৃত্যুর পর, তাঁরা তাঁদের সন্তানদের সাহায্য করতে পারেন না।সন্তানদের সাময়িক সাহায্যের জন্য কিছু সম্পত্তি রেখে যেতে পারেন, কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর পরিবারের ভরণ-পোষণ কিভাবে হবে, সেই চিন্তায় মগ্ন থাকা উচিত নয়। এটি হচ্ছে বদ্ধ জীবের রোগ। সে কেবল তার নিজের ইন্দ্রিয় তৃপ্তি সাধনের জন্যই পাপকর্ম করে না,তার সন্তান-সন্ততিরা যাতে মহা আড়ম্বরে ইন্দ্রিয় সুখ ভোগ করতে পারে, সেইজন্য প্রচুর ধন-সম্পদ রেখে যেতে চায়। ভাগবত তাৎপর্যঃ ৪/২৮/২২।
0 Response to "প্রশ্ন:- কেন জীবের তথা মানুষের শরীরে নয়টি দ্বার রয়েছে?প্রশ্ন:- বিষয়ী কাকে বলে? প্রশ্ন:- আধ্যাত্মিক বুদ্ধির প্রয়োজনীয়তা কি?প্রশ্ন:- জড়বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিক দর্শনের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? প্রশ্ন:- বদ্ধ জীবের রোগ কি?"
Post a Comment