শান্তির সূত্র

Krishner Das

1 / 7
2 / 7
3 / 7
4 / 7
5 / 7
6 / 7
7 / 7

 জয় শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ শ্রীঅদৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ।হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।[ হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করুন এবং সুখী হুইন ]-শ্রীল প্রভুপাদ

হরে কৃষ্ণ

🙏হরে কৃষ্ণ🙏জপ করুন সুখী হউন

শান্তির সূত্র

শান্তির সূত্র

 



শান্তির সূত্র

শান্তির সূত্র

প্রকৃতির বিধিবিধানগুলি সংযুক্তভাবে অথবা পৃথকভাবে কাজ করে থাকে । নিম্নলিখিত সংক্ষিপ্ত অথচ দৃঢ় বক্তব্যের মাধ্যমে শ্রীল প্রভুপাদ ব্যাখ্যা করেছেন যে, বর্তমান সমাজের সমষ্টিগত কমপ্রিচেষ্টার জালে জড়িয়ে অামরা যেভাবে প্রতিহিংসাপরায়ণ সর্বনাশের দিকে এগিয়ে চলেছি, তার থেকে যদি আমরা বেরিয়ে আসতে চাই—সমষ্টিগতভাবে অথবা ব্যক্তিগতভাবে যদি আমরা শান্তি লাভ করতে চাই তাহলে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে আমাদের কৃষ্ণভাবনামৃত অনুশীলন ও প্রচার করতেই হবে। | আধুনিক সভ্য সমাজে মানুষের মস্ত বড় দোষ হল যে তারা অন্যের সম্পত্তিকে নিজের দখলে আনার চেষ্টা করে যেন সেটা তাদের নিজের সম্পত্তি। যার ফলে প্রকৃতির বিধিবিধানগুলাের ওপর অযথা বাধা বিপত্তির সৃষ্টি হয়। এই সব বিধিবিধানগুলাে খুবই কঠিন। কোনও জীবই এগুলােকে লঙ্গন করতে পারে না। একমাত্র যারা কৃষ্ণভক্ত তারাই কেবল এই কঠোর বিধিবিধানগুলােকে অতিক্রম করতে পারে। এইভাবে তারা পৃথিবীতে সুখী হন ও শাস্তি ভোগ করেন। যেমন যেকোনও রাষ্ট্রে কিছু আইন থাকে যেগুলাে রাষ্ট্রকে সুরক্ষিত রাখে, তেমনি বিগঞ্জের রাষ্ট্রব্যবস্থায়—এই পৃথিবীও যার একটি নগণ্য মুদ্র অংশ, সেই রাষ্ট্রব্যবস্থাও প্রকৃতি বিধিবিধান দিয়ে সুরক্ষিত। এই জড় প্রকৃতি ও ভগবানের বিভিন্ন শক্তিরাশির একটি অংশমাত্র, যিনি সব কিছুরই পরম অধিকর্তা। সেই কারণে এই পৃথিবীও ভগবানেরই সম্পত্তি। কিন্তু জীবগণ, বিশেষত তথাকথিত সভ্য-মানুষজাতি, ভগবানের সমস্ত সম্পত্তিকে নিজেদের বলে মনে করে। ফলে তা নিজেদের আয়ত্তে নিতে চায়। কিন্তু আপনি যদি প্রকৃত শাস্তি চান, তবে নিজের মন থেকে সেইসাথে সমগ্র পৃথিবী থেকে আপনাকে এই মালিকানা ভ্রান্ত ধারণা মুছে ফেলতে হবে। কারণ পৃথিবীর সকল সম্পদরাশির ওপর মালিকানা নিয়ে মানবজাতির এই ভ্রান্ত ধারণাই এই জগতে শান্তি স্থাপনের ক্ষেত্রে সব রকমের অসুবিধার জন্য আংশিক বা পরিপূর্ণভাবে দায়ী। তথাকথিত সভ্য মানুষ হিসাবে বিবেচিত নির্বোধ মানুষরাই ভগবানের সমস্ত সম্পদের ওপর নিজেদের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করার দাবি করতে শুরু করেছে, কারণ তারা ভগবৎ-জ্ঞানশুন্য। ভগবৎ-জ্ঞানশূন্য সমাজে কেউ কখনও সুখী হতে পারে না ও শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারে না। এমগবদ্গীতায় ভগবান
শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন যে, তিনিই সকল জীবের সমস্ত রকম কার্যকলাপের যথার্থ ফলভােক্তা, তিনিই সমস্ত বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের পরমেশ্বর শ্রীভগবান, এবং তিনিই সকল জীবের শুভাকাক্ষী বন্ধু । যখন সমস্ত মানুষ জানবে যে পৃথিবীতে শান্তি রক্ষার এটিই একমাত্র তত্ত্ব, তক্ষুণি জগতে শান্তি বিরাজ করতে থাকবে। তাই, প্রকৃতই যদি কেউ শান্তি চায়, তাহলে তাকে কৃষ্ণভাবনামৃত আস্বাদনের শুদ্ধ চেতনায় নিজের চেতনাকে নিয়ে আসতে হবে এবং সেইসাথে এককভাবে অথবা দলে দলে ভগবানের পবিত্র নাম জপ অভ্যাসের সহজ সরল পন্থাটি মেনে চলতে হবে। পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনের এটিই একমাত্র ও সর্বজন, অনুমােদিত | পন্থা। সেই কারণেই বলা হয় প্রত্যেকে হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে—এই মহামন্ত্রটি জপের মাধ্যমে কৃষ্ণভাবনাময় হয়ে উঠুন। এটিই বাস্তবসম্মত সহজ ও ভক্তি উৎপাদক পদ্ধতি। পাঁচশ বছর পূর্বে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এই মূলনীতিটি ভারতবর্ষে প্রথম প্রবর্তন করেছিলেন, বর্তমানে এটি সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। উপরিউক্ত পদ্ধতিতে জপ অনুশীলন করলে ও সেই সঙ্গে ভগবদ্গীতা যথাযথ গ্রন্থখানি প্রতিদিন একটু একটু করে পাঠ করলে নর সাথে আমাদের লুপ্ত সম্বন্ধ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। তার ফলেই অচিরে জগব্যাপী শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠিত হবে।

0 Response to "শান্তির সূত্র"

Post a Comment

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel