এই বইটি বিশেষতঃ ভারতের সাধারণ জনগণের মধ্যে বিতরনের। উদ্দেশ্যে রচিত। এটি সকল প্রধান ভারতীয় ভাষায় অনুবাদের উপযােগী । অনুবাদকে চাইলে তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশের সংগে সংগতিসাধনের উদ্দেশ্যে এনটির কিছু গৌণ পরিবর্তন করে নিতে পারেন।
শ্রীকৃষ্ণ (বিষ্ণু) হচ্ছেন পরমপুরুষ -এটিই হল পরম সত্যের যথাথ
উপলব্ধি । ভগবদ্গীতাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই সত্যকে খ্যাথহীনভাবে
প্রতিপাদন করেছেন। এবং সকল বৈষ্ণৰ তত্ত্বদর্শীগণ তা গ্রহণ করেছেন।
শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন পরমপুরুষােত্তম ভগবান স্বয়ং। তিনি নিরাকার নন, তিনি শাশ্বত কাল ধরে তার নিত্য চিনায় রূপে (সচ্চিদানন্দ বিগ্রহ' রূপে)বিরাজিত। ভগবান হচ্ছেন একজন ব্যক্তি, এবং অপর সকল জীব তার নিত্য সেবক - এটাই হল অপ্রাকৃত পারমার্থিক সত্যের সর্বোচ্চ উপলব্ধি সেই জন্য)
আমাদের ভগবান হবার চেষ্টা করা উচিত নয় ; আমাদের কেবল বিচিত্তে ভগবানের অধীনতা স্বীকার করে নিতে হবে, তাঁর শরণাগত হতে হবে।
বইটিতে আলােচিত কিছু বিষয় যেমন কীর্তন, জপ, তিলক প্রভৃতি যে কোন নুতন কৃষ্ণভক্তি অনুশীলনকারীর পক্ষে জানা অপরিহার্য। আমার কাছে। যা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছে এমন আরও কিছু বিষয় বইটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা নবীন ভক্তি অনুশীলনকারীদেরকে পারমার্থিক জীবনের এক সুদৃঢ়। ভিত্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে - যেমন, “কৃষ্ণভাবনামৃতকে যথাযথরূপে। উপলব্ধি," "নারীপুরুষ সংসর্গে বিধিনিষেধ ইত্যাদি।
বৈষ্ণব সংস্কৃতি ও শিষ্টাচারের কিছু মৌলিক বিষয়ও, এখানে আলোচিত হয়েছে, যা অপর একটি বইয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করার অভিপ্রায় আমার রয়েছে। | আমি অবশ্য ইতিমধ্যেই বাংলাভাষায় এই ধরণের একটি গ্রন্থ প্রণয়ণ কৰিছি। "বৈষ্ণব শিক্ষা ও সাধনা' নামের এই গ্রন্থটি বাংলাদেশে বিতরণের উদ্ধেশ্যে ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত হয়েছে।
» আমি আশা রাখছি যে পাশ্চাত্য দেশগুলিতে প্রচারৱত কোন ভক্ত। এরকম একটি বিশদ নির্দেশিকাগ্রন্থ প্রকাশ করবেন যা পাশ্চাত্যের ভক্তজীবন। লাভেদের উপকার সাধন করবে। বর্তমান বইটি এরকম একটি গ্রন্থের ভিত্তিস্বরূপ হতে পারত, কিন্তু পাশ্চাত্যবাসীদের যেহেতু ভারতের সাংস্কৃতিক পরিবেশের সুবিধাটি নেই, সেজন্য তাদেরকে প্রতিটি আচার-অনুষ্ঠানের বিস্তৃত ব্যাখ্যা দানের প্রয়োজন রয়েছে।
¥¥¥ শ্রীল প্রভুপাদ তাঁর পূর্বতন মহান বৈষ্ণব আচার্যগণের অনুসৃত ধারায় সর্বদাই মায়াবাদের বিরােধিতা করেছেন। তিনি বারবার দৃঢ়ভাবে এই
মতবাদের দোষক্রটি অসারতা তুলে ধরে তা খন্ডন করেছেন। শ্রীল প্রভুপাদের।
গ্রন্থসমুহে সর্বত্রই মায়াবাদ ও মায়াবাণীদের উল্লেখ রয়েছে, তবে বিষয়টির
সামগ্রিক বিশ্লেষণ পেতে হলে পাঠকবৃন্দকে ‘‘শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর শিক্ষা গ্রন্থটি অধ্যায়ন করতে হবে। I
অনলাইনে পড়ুনঃ-
0 Response to "নবীন ভক্তদের জন্য কৃষ্ণভক্তি অনুশীলনের পন্থা Download করুন.PDF"
Post a Comment