আপেক্ষিকত্ব এবং জ্ঞান
ডাঃ সিংঃ- তাহলে এই বুদ্ধিমত্তা আপেক্ষিক।
শ্রীল প্রভুপাদ ঃ হ্যা। সবকিছুই আপেক্ষিক। তােমার একটা বিশেষ | শরীর আছে, তার আয়ু আছে, এবং তার বুদ্ধিমত্তা আছে, আর একটা | পিপড়েরও এগুলি আছে। আমাদের এবং পিপড়েদের সকলেরই আয়ু
একশ’ বছর। তবে আমাদের একশ’ বছর, এই শরীরের চেতনা অনুসারে একশ' বছ। এমনকি ব্রহ্মা, এই ব্রহ্মাণ্ডের সবচাইতে দীর্ঘ আয়ুসম্পন্ন জীব, তারও আয়ু একশ’ বছর। আমাদের মনে হতে পারে যে একটা। পিপড়ের আয়ু মােটে কয়েকটি দিন মাত্র। ঠিক তেমনই আমাদের এই পৃথিবী থেকেও ভিন্ন আবহাওয়া সম্পন্ন অন্যান্য গ্রহে সেখানকার আবহাওয়া অনুসারে জীবন রয়েছে। কিন্তু বৈজ্ঞানিকেরা সবকিছুই কেবল এই পৃথিবীর অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে দেখতে চায়। সেটা তাদের মূখ। যদি সমস্ত জড়া-প্রকৃতি আপেক্ষিক নীতি অনুসরণ করে, তাহলে বৈজ্ঞানিকেরা কিভাবে বলে যে, এই গ্রহের অবস্থা অন্যান্য গ্রহের | জীবদের উপরও প্রযােজ্য হবে?
বেদ নির্দেশ দিচ্ছে যে দেশ, কাল, পাত্র অনুসারে জ্ঞান বিবেচনা করতে হয়। দেশ মানে হচ্ছে পারিপার্শ্বিক অবস্থা, কাল মানে সময়, এবং পাত্র মানে হচ্ছে বিষয়। এই তিনটে বিষয় নিয়ে বিবেচনা করে। তাদের সবকিছু বুঝতে হবে। যেমন, একটা মাছ খুব আরামে জলে বাস , , T; এই সমুদ্রে তীরে অ-রা ঠাণ্ডয় কাপছি। তার কারণ হচ্ছে আমাদের দেশ, কাল, পাত্র এবং মাছের দেশ, কাল, পাত্র ভিন্ন। তেমনই আমরা যদি সিদ্ধান্ত করি যে, সমুদ্রের তীরে দাঁড়িয়ে আমরা যেহেতু শীতে কাঁপছি তাই সমুদ্রের পাড়ে এই গাঙচিলগুলােও শীতে কাপবে, সেটা সম্পূর্ণ অর্থহীন সিদ্ধান্ত। গাঙচিলদের দেশ, কাল, পাত্র আমাদের দেশ, কাল, পাত্র থেকে ভিন্ন। এই জড় জগতে ৮৪ লক্ষ বিভিন্ন ধরনের জীব শরীর রয়েছে, এবং বিভিন্ন ধরনের প্রতিটি জীব বিভিন্ন অবস্থায় বাস করছে। এমনকি এই গ্রহেও। তুমি আলাস্কায় গিয়ে
আরামে থাকতে পারবে না, যদিও তা আমেরিকারই একটা অংশ। | তেমনই যারা আলাস্কায় বসবাস করছে তারা যদি এখানে আসে তাহলে তাদের খুব কষ্ট হবে। করন্ধরঃ- তার মানে আপেক্ষিকত্ব নির্ভর করছে আমাদের ব্যক্তিগত অবস্থার = উপর।
শ্রীল প্রভুপাদ ঃ হ্যা। তাই বলা হয় যে, একজনের আহার অন্য * আরেকজনের বিষ। ব্রহ্মানন্দ স্বামী ও বৈজ্ঞানিকেরা যেহেতু চাঁদে বসবাস করতে পারল না, তাই তারা অনায়াসেই সিদ্ধান্ত করল কেউই সেখানে বসবাস করতে পারে না।
আরও পড়ুনঃ-
হরিবোল
ReplyDelete